আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কাজ জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে সাতটি দেশ থেকে আসা ১৯ হাজারেরও বেশি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। এতে করে বড় একটি সুখবর পেলেন বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
সোমবার (১৯ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
তিনি জানান, প্রবাসীদের অনলাইনে জমা দেওয়া আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ২৮৬ জনকে ভোটার হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ হাজার ১২৩ জন ইতোমধ্যে এনআইডি কার্ডও পেয়ে গেছেন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাতটি দেশ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪৫ হাজার ১৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ২৮ হাজার ৯২৬ জন। তদন্তে বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৫৬৩টি আবেদন। বর্তমানে ২১ হাজার ৮৮৯টি আবেদন তদন্তাধীন রয়েছে।
দেশভিত্তিক প্রাপ্ত আবেদন ও অনুমোদনের চিত্র নিচে তুলে ধরা হলো:
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১৯,১৯৭টি আবেদন, অনুমোদন ১০,৬২৭টি
সৌদি আরব: ৩,৫৫৪টি আবেদন, অনুমোদন ১,০৭৪টি
যুক্তরাজ্য: ৮,৫২৯টি আবেদন, অনুমোদন ৩,০৯৯টি
ইতালি: ৬,৩৭২টি আবেদন, অনুমোদন ১,৮৪৪টি
কুয়েত: ৩,৮৭২টি আবেদন, অনুমোদন ১,০৩৮টি
কাতার: ২,৮৩২টি আবেদন, অনুমোদন ৯৪৪টি
মালয়েশিয়া: ৯৪৮টি আবেদন, অনুমোদন ২৬০টি
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় প্রবাসী ভোটার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। যদিও এসব দেশের আবেদন এখনো চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১২টি দেশে এই কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ৯টি দেশে এটি চালু আছে।
বিদেশে বসে ভোটার হতে হলে প্রবাসী নাগরিকদের নিম্নলিখিত তথ্য ও দলিলপত্র সরবরাহ করতে হবে:
পূরণকৃত অনলাইন ফরম-২(ক), বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আরও কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে, যেমন- শিক্ষা সনদ, পিতামাতার এনআইডি বা মৃত্যু সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, বাড়িভাড়া চুক্তিপত্র, ইত্যাদি।