বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। এ নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তার মা শিরিন বেগম।
তিনি বলেছেন, ‘তার (শাকিল) বাবা বেঁচে থাকলে কতই না খুশি হতো।’
সোমবার (১৯ মে) এভারেস্ট জয় করেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর ইকরামুল হাসান শাকিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলা মাউন্টেনারিং অ্যান্ড ট্রেনিং ক্লাবের (বিএমটিসি) সমন্বয়ক সাদিয়া সুলতানা শম্পা।
শিরিন বেগম জানান, গত ২৫ মার্চ যাত্রা শুরু করেন শাকিল। গত শুক্রবার সকাল সাতটার সময় তার মার সঙ্গে কথা হয়। মার কাছে দোয়া চান তিনি। বলেন, ‘মা আমি এভারেস্ট চূড়ায় উঠব। তুমি চিন্তা কোরো না, শুধু দোয়া কোরো।’
শিরিন বেগম শাকিলকে বলেন, ‘তুমি বিজয়ী হবা বাবা।’
এরপর দু’দিন তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না বলে জানান শিরিন বেগম। এই দুই দিনে তিনি সারাদিন কান্না করেছেন, ভেঙে পড়েছিলেন। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেননি।
সোমবার তিনি যখন শুনতে পেলেন, ছেলে শাকিল এভারেস্ট জয় করেছেন, পতাকা উড়িয়েছেন। তখন শিরিন বেগম খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘আজ ওর বাবা যদি বেঁচে থাকত তাহলে কতই না খুশি হতো। গরিব ঘরের সন্তান আমার ছেলে, সে আজ বিশ্বের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে পদযাত্রায় ১২শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৯৬ দিনে এভারেস্ট জয় করেছিলেন। শাকিল সেই রেকর্ড ভেঙে আরও একশ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিয়েছেন এবং সপ্তাহখানেক কম সময়ে জয় করেছেন এভারেস্ট।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানি সমুদ্র সৈকত থেকে শাকিল তার পদযাত্রা শুরু করেন। ৯০ দিনের মধ্যে ‘সি টু সামিট’ জয় করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের প্রায় এক হাজার ৩ শ কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে এভারেস্টের ২৯ হাজার ৩১ ফুট উচ্চতা জয় করেন এই স্বপ্নবাজ তরুণ।