বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম

পছন্দের ইমামকে না রাখায় জাতীয় পতাকার খুঁটিতে জুতা, ভিডিও ভাইরাল

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম

পছন্দের ইমামকে না রাখায় জাতীয় পতাকার খুঁটিতে জুতা, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

পছন্দের ইমাম রাখা হয়নি। আর তাতেই ক্ষেপল পূর্বের ইমামের অনুসায়ী।

ক্ষোভে ঘটল এক অবাক কাণ্ডও। তারা জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে (খুঁটি) জুতা ঝুলিয়ে জানাল প্রতিবাদ।

এমন ঘটনাই ঘটল কুমিল্লায়। সেখানকার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের মসজিদের ইমাম নিয়ে এ ঘটনা।

জুতা ঝুলানোার ঘটনাটি এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।

২৫ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ৮-১০ জন যুবক ওই কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থাকা জাতীয় পতাকার তিনটি স্ট্যান্ডের মাঝের স্ট্যাডের সামনে গিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান দিয়ে জুতা ঝুলিয়ে দিচ্ছেন।

 

জানা গেল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে পছন্দের ইমামকে না রাখায় এমন ঘটনা ঘটাল আগের ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা।

ঘটনাটি শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পরের ঘটনা।

তবে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে কথা বলেন কলেজ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন। এ সময় তারা বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরোধ কখনও কাম্য নয়। তারা নতুন ইমাম নিয়োগের দাবি করেন।

পরে নামাজের পর ৮-১০ জন যুবক কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থাকা জাতীয় পতাকা স্ট্যাডের সামনে গিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান দিয়ে জুতা ঝুলিয়ে দেন।

তবে অব্যাহতি পাওয়া ইমাম মারুফ বিল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

‘আজ আমি এ মসজিদে ছিলাম না। কলেজ প্রশাসন আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমি কলেজ থেকে চলে এসেছি। এখন কি ঘটনা, কারা করেছে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, ‘জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে জুতা উত্তোলন রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। এই কাজ কখনোই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে গত ২০ জানুয়ারি তাবলিগের সাপ্তাহিক তালিম সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

পরে একাধিকবার কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ওই ইমামের অনুসারীরা। গত ২১ জানুয়ারি অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা। পরে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইমাম মো. মারুফ বিল্লাহকে নানা অভিযোগ তুলে অব্যাহতি দেয় কলেজ প্রশাসন।

ইমামকে চাকরিচ্যুত করার পর থেকেই প্রতি শুক্রবার নামাজে পূর্বের ঈমামকে বহালের দাবি করে আসছে স্থানীয় একটি পক্ষ।

সর্বশেষ গত শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি নামাজ শুরুর আগেই স্থানীয়রা কলেজের অধ্যক্ষের ওপর হামলা শেষে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে। 
 

আরবি/ফিজ

Link copied!