সংঘর্ষের দুই দিন পর ৩ মাছ শিকারীর মরদেহ উদ্ধার

মাছ শিকারের জেরে সংঘর্ষের দুইদিন পর নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার আসদপুরে বয়ে যাওয়া ধনু নদী থেকে তিনজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন— কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (৩০), আটপাড়া উপজেলার স্বরমুসিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে শহীদ মিয়া (৫৫) এবং মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৫২)।

লাউয়ের দামাদামি নিয়ে দ্বন্দ্ব, পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখম

বিস্তারিত পড়ুন

গত শনিবার (৮ মার্চ) খালিয়াজুরীর হাওড়ে ইজারাকৃত দুটি জলমহাল লুটের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে বাহনে করে হাজারো মানুষ কাঠালজান ও মরাগাং এলাকায় ধনু নদীর পাড়ে জড়ো হয়। তাদের হাতে ছিল মাছ ধরার সরঞ্জাম ও দেশীয় অস্ত্র। 

পরে ধনু নদী পার হওয়ার জন্য রসুলপুর ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে নদী পারাপারের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এ সময় শিকারীরা রসুলপুরের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা শিকারীদের নিয়ে আসা যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খালিয়াজুরী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব সরকার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।