রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও ববি প্রশাসনের অবহেলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবি

ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও ববি প্রশাসনের অবহেলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবি

শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা হক জিমির মৃত্যু ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা হক জিমির মৃত্যু ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩ এপ্রিল)  দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জিমির চিকিৎসার জন্য তার পরিবার অর্থ সংকটে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দীর্ঘ সময় ধরে একাধিকবার আবেদন করেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

তারা আরও বলেন, প্রায় ৫ মাস সময় ধরে চলা অনিশ্চয়তা, দায়িত্বহীনতা এবং বারবার দপ্তরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অবহেলা করা হয়েছে। ৩ বার আবেদন জমা দেওয়া সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

ফলস্বরূপ, অসুস্থতার সময় সে যথাযথ চিকিৎসা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়, অথচ প্রশাসন তখনো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থ থাকে। 

এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। দাবিগুলো হলো-

১. জিমির আবেদনের বিষয়ে প্রশাসনের অবহেলার দায় স্বীকার করতে হবে ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে (গ্রাউন্ড ফ্লোরে) সব শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার জন্য অঙ্গীকারপত্র স্বাক্ষর করতে হবে।

২. উপাচার্যের কর্মদিবসগুলোতে নির্ধারিত সময়ে নিজ দপ্তরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। অনুপস্থিত থাকলে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

৩. আর্থিক সহায়তাবিষয়ক আবেদন ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। গৃহীত হলে কিংবা বাতিল হলে তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে এবং এই কাজের জন্য একজন নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।

৪. আর্থিক সহায়তা তহবিলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওয়েবসাইটে এর হিসাব প্রকাশ করতে হবে।

৫. শিক্ষার্থীরা যাতে উপাচার্যের সাথে কোনো জরুরি বিষয়ে দেখা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার না হয় এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ছাড়া  দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সব যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার ঘোষণা দেন তারা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!