রাজশাহীর পুঠিয়ায় শ্বশুর ও জামাইসহ পরিবারের সদস্যদের মারধরে নীলু (৫০) নামের এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল আটটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।
অভিযুক্তরা হলেন, লুৎফর রহমান ও তার জামাই মহন মণ্ডল। তারা পুঠিয়া সদরের শেরপাড়ার বাসিন্দা।
পল্লী চিকিৎসক নীলু পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় বাজারে রোগী দেখতেন। তিনি শেরপাড়ার বাসিন্দা।
নিহতের স্ত্রী পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী জলি বেগম জানান, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার স্বামী নীলুর সঙ্গে প্রতিবেশী লুৎফর রহমান ও তার জামাইয়ের কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে লুৎফর রহমান লোকজন ডেকে তার স্বামীকে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল আটটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন মারা যায়। লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। বাড়িতে যাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জলি বেগম।
প্রতিবেশী কামাল হোসেন বলেন, ‘নীলু মারা যাওয়ার খবর শুনে লুৎফর ও তার জামাই পরিবার নিয়ে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘ডিবি পুলিশ সূত্রে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। নিহতের পরিবারের লোকজন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত ২৭ এপ্রিল ওই ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় মামলাও করা হয়েছিল।’
