মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বাঘবাড়ী এলাকায় গাছ ফেলে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বৃষ্টির মধ্যে সড়কে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মুখোশধারী প্রায় ১৫-২০ জনের একদল ডাকাত। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। ডাকাতরা ২০-২৫টি সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার ও পিকআপ ভ্যান থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের মারধর করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান মালামাল লুট করে।
ডাকাতদের হামলায় অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, ওয়াজিদ মিয়া, অপু দাস, আরিফুল ইসলাম, মেরাজ মিয়া, সুমিত আলী, নিবাস পাল, সালেক মিয়া ও তাহমিদ। ডাকাতরা হামলার পর মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়কে ফেলা গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। তবে পুলিশ আসার আগেই ডাকাতদল পালিয়ে যায়। আটকে পড়া যানবাহনগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করা হয়।
ভুক্তভোগী শ্রীমঙ্গল উপজেলার ওয়াজিদ মিয়া বলেন, ‘আমরা কমলগঞ্জ থেকে প্রাইভেট কারে শ্রীমঙ্গল ফিরছিলাম। বাঘড়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতদের কবলে পড়ি। তারা দা ও অস্ত্র দেখিয়ে আমাদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে।’
কমলগঞ্জের এক ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে আমার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের আগে আরও কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকেও লুটপাট করার কথা শুনেছি।’
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান জানান, ‘আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর জানান, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার ব্যাপক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :