বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ইব্রাহিম আকাশ, লালমোহন (ভোলা)

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

শেষবারের মতো রাকিবের অপেক্ষায় স্বজনরা

ইব্রাহিম আকাশ, লালমোহন (ভোলা)

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

নিহত রাকিবের স্বজনরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নিহত রাকিবের স্বজনরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ভোলা জেলা লালমোহন উপজেলা, বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর এলাকার ২২ বছরের যুবক মো. রাকিব গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হন। অসচ্ছল পরিবারের এই যুবক তিন বছর আগে বিয়ে করেছিলেন, রয়েছে ১৮ মাস বয়সি এক পুত্র সন্তান।

নিহত রাকিবের বাবা আবু মোল্লা জানান, ‘গত এক মাস আগে আমার দুই ছেলেসহ মোট ৯ জন জেলে সাগরে মাছ শিকার করতে যান। তবে মাছ না পাওয়ায় তারা আর এলাকায় না ফিরে সাগরের তীরে অপেক্ষায় থাকেন আবারও মাছ শিকারের জন্য। এরপর তারা আবারও মাছ শিকারের জন্য গভীর সমুদ্রে নামেন।

২৫ জুলাই সাগরে প্রচুর মাছও পান তারা। ওই মাছ নিয়ে ফেরার পথে ওইদিন সকালে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরা ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় আমার বড় ছেলেসহ আরও ৮ জেলে বেঁচে যান।

তবে সাগরের অথৈ পানিতে ট্রলার-জালসহ আমার ছোট ছেলে রাকিব ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর জীবিত থাকা আমার ওই ছেলেসহ অন্যান্য জেলেরা আরেকটি ট্রলার নিয়ে সাগরের বিভিন্নস্থানে রাকিবকে তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেন। তবে কোনোভাবে তার আর খোঁজ মেলেনি।’

তিনি জানান, সাগরে ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারটি বছর দুয়েক আগে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে তৈরি করেছেন। এ ছাড়া ওই ট্রলারে আরও ১০ লাখ টাকার জাল ছিল। এর সব টাকা ধারদেনা ও এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া। ছেলের সঙ্গে তাদের উপার্জন সেই সম্বলটিও এখন সাগরের অথৈ পানিতে ডুবে গেছে।

নিখোঁজ রাকিব তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন। তাদের সংসারে ফুটফুটে ১৮ মাসের একজন পুত্র সন্তানও রয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ‘আমাদের এই অসচ্ছল পরিবারটি আমার দুই ছেলের আয়েই চলত, যা দিয়ে আমরা সবাই কোনোরকমে খেয়েপরে দিন পার করছি। এই মাছ শিকারের আয়ে রাকিবও তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নিজের সংসার চালাত। তবে এখন আমার ছোট ছেলে রাকিব সাগরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোথাও তার খোঁজ মেলেনি।

এখন রাকিবকে আমরা জীবিত না হলেও তার মরদেহটি শেষবারের মতো দেখতে চাই এবং নিজ হাতে আমার ছেলেকে দাফন করে তাকে শেষ বিদায় দিতে চাই। তাই তার অন্তত মরদেহটি খুঁজে পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

রাকিবের স্ত্রী আকলিমা বেগম স্বামীর নিখোঁজের পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, পরিবারকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জিডি হলে নিখোঁজ রাকিবের ছবি সকল থানায় পাঠানো হবে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, পরিবার যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!