শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম

ধারের ২০ টাকার দ্বন্দ্বে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম

অভিযুক্ত ছুরিকাঘাতকারী শাহ আলমের বাড়িতে পাহারায় পুলিশ সদস্যরা।   ছবি- সংগৃহীত

অভিযুক্ত ছুরিকাঘাতকারী শাহ আলমের বাড়িতে পাহারায় পুলিশ সদস্যরা। ছবি- সংগৃহীত

ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় মাত্র ২০ টাকা ধার পরিশোধ নিয়ে ঝগড়ার জেরে ছুরিকাঘাতে আহত মো. মঞ্জুর বিশ্বাস (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঞ্জুর বিশ্বাস ঝিনাইদহ পৌরসভার লক্ষ্মীকোল গ্রামের মৃত ইয়াকুব বিশ্বাসের ছেলে।

এদিকে এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মঞ্জুরের স্বজনেরা অভিযুক্ত ছুরিকাঘাতকারী শাহ আলমের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল দুপুর থেকে শাহ আলমের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শাহ আলম ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতপাড়ার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাহ আলমের ছোট ভাই আবিরের কাছ থেকে ২০ টাকা ধার নেন নিহত মঞ্জুরের ছেলে রিফাত। সেই টাকা পরিশোধ না করায় গত ১১ আগস্ট রিফাতের বাইসাইকেল কেড়ে নেন আবির। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য গত ১৩ আগস্ট আদালত চত্বরে একটি চায়ের দোকানের সামনে শাহ আলমকে ডেকে আনেন মঞ্জুর ও তাঁর পক্ষের লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় কয়েকজন মিলে শাহ আলমকে মারধর করেন। তখন শাহ আলম তাদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে ফিরে এসে পকেট থেকে গিয়ার (ছুরি) বের করে মঞ্জুরের পিঠে আঘাত করে পালিয়ে যান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলায় গত ১৯ আগস্ট তিন আসামিই আত্মসমর্পণ করেন। বিজ্ঞ আদালত শাহ আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’

শাহ আলমের স্ত্রী রিপা খাতুন বলেন, ‘১৩ তারিখে কোর্টের মধ্যে মঞ্জুররা আমার স্বামীকে মারধর করে। এ সময় আমার স্বামী শাহ আলম ছুরিকাঘাত করে। এই বিষয়ে মামলা হলে আমরা পরিবারের লোকজন আমার স্বামীকে বুঝিয়ে কোর্টে সারেন্ডার করায়। আজ দুপুর বেলা মঞ্জুর হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরে মঞ্জুরের পরিবারের লোকজন এসে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জুরের মৃত্যু হয়েছে। প্রধান আসামি শাহ আলম সারেন্ডার করে কারাগারে রয়েছে। দুপুরে মঞ্জুরের বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা শাহ আলমের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন থেকেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!