আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা সংসদে গিয়ে আপনাদের কথা ভুলে গেছে। কীটনাশক ও সার বিক্রির টাকায় আমার কৃষকের ভবিষ্যৎ বিক্রি করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাল-ডালের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ না করতে পারার কারণে কুড়িগ্রামের কৃষকদের অনেকে সম্মানিত জীবনযাপনের বদলে ঢাকা শহরের রিকশাচালকে পরিণত করেছে। আমি সেইসব কৃষক ভাইদের বলতে চাই, পুরাতন রাজনীতি ভুলে গিয়ে নতুন রাজনীতি করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট বাজারে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসব কথা বলেন।
এরপর সদরের ত্রিমোহনী বাজার ও ঘোষপাড়ায়ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার—এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে অধিকারভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুড়িগ্রামে এবি পার্টি এ পথসভাগুলো আয়োজন করে।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এবি পার্টির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু বকর সিদ্দিক। সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন এবি পার্টি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক ডা. নজরুল ইসলাম খাঁন। সঞ্চালনা করেন কুড়িগ্রাম জেলার সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জুয়েল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও বলেন, ‘নতুন রাজনীতি অবশ্যই করতে হবে, যদি আপনারা আপনাদের ভাগ্য বদলাতে চান। এটা আপনাদের চয়েস—আপনারা কি আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে পেতে চান, নাকি দাসত্বের জীবন বেছে নেবেন? যদি আপনারা গুন্ডাদেরকে নির্বাচিত করেন, তাহলে সারা জীবন ভুগতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পতাকার প্রতি সবার দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা সবাই মিলে লড়াই করে, সংগ্রাম করে পরিবর্তনের রাজনীতিটা ফিরিয়ে আনব। এলাকাবাসীর প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান—এবি পার্টির ছায়াতলে আসুন। নতুন করে বাংলাদেশ বদলের রাজনীতিটা আমরা করি। বিবেকের রাজনীতি করি, ভোট বেচাকেনার রাজনীতি বাদ দিয়ে সেবার রাজনীতি করি। আপনার অধিকারের লড়াইয়ের রাজনীতিটা করি। কুড়িগ্রামের উন্নয়নে সৎ ও মানবিক প্রার্থী ডা. নজরুল ইসলামকে নির্বাচিত করতে হবে। তিনি গরিবের ডাক্তার।’
পরে বিকেল ৪টার দিকে পথসভা করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শুলকুর বাজার এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন