চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় থানার জিডিকে অমান্য করে এক সাবেক এক সরকারি কর্মচারীর বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, এ সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভবনের দরজা-জানালা ভেঙে পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া পরিবারের তিন সদস্যকে মেডিকেলে পাঠালেও পরিবারের বাকি চার সদস্যকে এখনো পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পুলিশের মামলা নেওয়ার আশ্বাসে ভুক্তভোগীরা এখনো থানার দুয়ারে ঘুরছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (২৪ নভেম্বর) থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, আমি আবার ফোর্স পাঠাচ্ছি। প্রয়োজনে মামলা নেব।
ভুক্তভোগী জাফর আহমেদ বলেন, শফিউল আলম (৪০) ও সাইমন ইসলাম (২৫) দলবল নিয়ে গত দুদিন ধরে আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি আমার ছোট ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে পুলিশের সহায়তায় বের হলে আমার পরিবারের আরও চারজনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং আমার ঘরের পানির লাইন কেটে দিয়েছে। হুমকি দিচ্ছে বিল্ডিংসহ জ্বালিয়ে দেবে। এখন আমরা কার কাছে যাব কি করব ভাবতে পারছি না। আমরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় এনে আমাদের অবরুদ্ধ থেকে রক্ষা করার সহযোগিতা কামনা করছি।
জাফর আহমেদের মেয়ে শাকিলার অভিযোগ, দলবল নিয়ে তারা আমাদের বাড়িটি দখল করতে চায়। এই বিষয়ে ১৮ নভেম্বর থানায় অভিযোগ করা হলে অভিযুক্তরা আইনের তোয়াক্কা না করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তখন পুলিশ অভিযোগটাকে সাধারণ ডায়েরি বা জিডি আকরে গ্রহণ করে। এরপরে ২২ নভেম্বর বিকাল ৫টা থেকে আমাদের অবরুদ্ধ রেখে ভাঙচুর চালায়। আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে আহতরা চিকিৎসার জন্য পুলিশের সহায়তায় বের হলে এখনো পর্যন্ত আমার মা-ভাই-ভাবিকে তারা অবরুদ্ধ রেখে পানির লাইন, স্যানিটারি পাইপ লাইন কেটে দিয়েছে। আর আমরা বাইরে আছি। প্লিজ আপনাদের মাধ্যমে আমরা সহযোগিতা কামনা করছি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন