দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে সন্ধ্যার পর ঠান্ডা অনুভূতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, যা ঠান্ডা অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকালে কাজে বের হওয়া স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরেই ঠান্ডা বাড়ছে। আজ ভোরে বের হতে কাঁপতে হয়েছে। শীত যেন হঠাৎ করেই নেমে এসেছে।’
রিকশাচালক মোহাম্মদ ফজলু মিয়া জানান, ‘সকালে রাস্তায় কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে চলাফেরা কষ্টকর। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় যাত্রীও কমে গেছে।’
ফুলবাড়ীর কলেজছাত্রী মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘ঠান্ডা এত বেড়েছে যে সকালে ক্লাসে যেতে বেশ শীত অনুভব হয়। গত সপ্তাহের তুলনায় এবার শীত অনেক বেশি লাগছে।’
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘উত্তর দিক থেকে মৃদু শীতল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তাপমাত্রা কমেছে। তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুর ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিমলা (নীলফামারী) ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়া ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ১৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছি (নওগাঁ) ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোর ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গা ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শ্রীমঙ্গল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন