‘নদী আমাদের মা, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে মাকে ধ্বংস করব না’, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে বিসর্জন নয়, মৎস্য ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়’, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য বর্জন করুন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুন’, ‘নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ’- এমন নানা স্লোগানে নদী দূষণমুক্ত করতে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-র সহযোগিতায় এবং বরগুনার পাথরঘাটার উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’র বাস্তবায়নে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিষখালী নদী-সংলগ্ন কাকচিড়া লঞ্চঘাট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় জনতা। মানববন্ধন শেষে নদীর পাশে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার অভিযানে অংশগ্রহণ করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন, ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-র পাথরঘাটা সমন্বয়ক, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সদস্য আবু মিয়া, সহ-সভাপতি আজগর আলী পহলান, সিএনআরএস-এর নিজাম উদ্দিন, সমাজসেবক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
কাকচিড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পরিবেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নদী দখল হচ্ছে, প্লাস্টিক বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে। নদী ভরাট করে মাছসহ সামুদ্রিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।’
এ সময় তারা দ্রুত প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের দাবি জানান। এ ছাড়াও বিষখালী নদীর পাড় থেকে প্লাস্টিক অপসারণ না হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও পৌরসভা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
তারা আরও বলেন, ‘আজ থেকে আমরা অঙ্গীকার করছি—নদী দখল, দূষণ ও ভরাট নয়; আমরাও নদী দূষণ ও দখলে অংশ নেব না। ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।’
শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের জীবিকার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। মানুষের অবাধ প্লাস্টিক ব্যবহারে নদী দূষণ ও দখল তো হচ্ছেই, পাশাপাশি পরিবেশ এবং সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। ফলে মানুষের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। আমরা যেমন মাকে যত্ন করি, ভালোবাসি, তেমনি নদীও আমাদের মা—মাকে ধ্বংস নয়, বরং আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নদী সুরক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন