ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

গলায় বঁটি ধরে নারীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
হাসপাতালে নারীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় পুলিশ। ছবি- সংগৃহীত

ভোলা সদর উপজেলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কামাল মাঝি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয় ওই নারীর। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কন্দকপুর গ্রামে ভুক্তভোগীর শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ।

ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ২ সন্তানের মা।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী পেশায় জেলে। তিনি কিছুদিন আগে সাগরে গেছেন এবং আমার শ্বশুর-শাশুড়ি গত দুদিন আগে ঢাকায় গেছেন। আমি ২ ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকি।

মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সিঁধ কেটে প্রতিবেশী কামাল মাঝি ঘরে ঢোকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি চোর-চোর বলে চিৎকার দিলে সে ওড়না দিয়ে আমার মুখ চেপে গলায় বঁটি ধরে। এ সময় তার সঙ্গে অজ্ঞাত আরও একজন ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে কামাল মাঝি আমার গলায় বঁটি ধরে ভয় দেখায়, আমি ধস্তাধস্তি শুরু করলে আমার ছেলের গলায়ও বঁটি ধরে। একপর্যায়ে কামাল মাঝি আমাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ শেষে ধর্ষণ করে। তার হাতে-পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ ছাড়া ভিডিওতে আমি তাকে ডেকে ঘরে এনেছি মর্মে জবানবন্দি নেয় এবং ধর্ষণের কথা কাউকে বললে সে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়াসহ আমার সন্তানদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়। 

এ সময় এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাজার দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। 

এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশের দুটি টিম গেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে।

ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানায় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।