ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চর মানিকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম খন্দকারকে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা চর মানিকা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের মাস্টারও গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রেপার করেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে দক্ষিণ আইচা বাজারে দিবালোকে প্রকাশ্য কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে।
এদিকে দক্ষিণ আইচা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম খন্দকারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে উপজেলাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ওই সন্ত্রাসী চক্রকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্ধা সাইফুল ইসলাম জানান, রেজাউল করিম খন্দকার দক্ষিণ আইচা কচ্চপিয়া এলাকায় নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে চর মানিকা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহেরকে সঙ্গে নিয়ে দেড়টার দিকে জুহরের নামাজ আদায় করতে মোটরসাইকেল যোগে দক্ষিণ আইচা বাজারের মসজিদের যান। এ সময় মসজিদের সামনে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আবুল হোসেন নামের এক সন্ত্রাসী তাকে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে এবং পিঠে আঘাত করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আবু তাহের তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান ওই সন্ত্রাসী আবুল হোসেন। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, ‘রেজাউল করিম খন্দকার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই থানা এলাকায় তার জনপ্রয়িতা দেখে পূর্ব থেকেই একটি মহল ঈর্ষান্বিত ছিলেন। তাকে ঘায়েল করতে এবং রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।’
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনজুর হোসেন জানান, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিমকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। তার রাজনীতিকে নস্যাৎ করার জন্য এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ওই সন্ত্রাসীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের কাছে শাস্তিার দাবি জানান তিনি। তবে কী কারণে তার ওপর এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম আবুল হোসেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বাজারের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্ত। তবে কী কারণে তার ওপর হামলা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’