বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে মা ও ছেলেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাইদুল্যাপুর (বটতলা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রবাসী ইদ্রীস আলীর স্ত্রী রানি বেগম (৩০) ও ছেলে ইমরান (১৭)। এ ঘটনার পর থেকে পাশের বাড়ির হাসান (১৬) নামের এক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে।
প্রাথমিক ধারণা, রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যা করে। এরপর তারা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কারা জড়িত থাকতে পারে- তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের চাচা খলিল সাংবাদিকদের জানান, ‘সকালে এক রঙমিস্ত্রি কাজের জন্য ডাকাডাকি করলেও ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। পরে তিনি পাশের বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে সবাই মিলে গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে রানি বেগম ও তার ছেলে ইমরানের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাজুড়ে চিৎকার শুরু হয়।’
খলিল আরও জানান, ‘ঘরের ভেতর সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে। স্বর্ণালঙ্কার, টাকা-পয়সা আর মোটরসাইকেল নেই। মনে হচ্ছে, চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তাদের হত্যা করা হয়েছে।’
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিখোঁজ হাসানকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।’
পুলিশ জানায়, এটি পরিকল্পিত হত্যা ও ডাকাতির ঘটনা হতে পারে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। দ্রুতই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন