ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

‘তুই’ বলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পরীক্ষা বর্জন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
কসবা উপজেলার খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। ঘটনার জেরে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চলমান পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কসবা উপজেলার খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষকদের উপস্থিতিতেই নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলেন, দুপুরে পরীক্ষায় অংশ নিতে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে। এ সময় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলার সময় ‘তুই’ সম্বোধন করলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তিনি জানান, সংঘর্ষের সময় এক শিক্ষার্থী লাঠি দিয়ে আরেক শিক্ষার্থীকে মারতে উদ্যত হলে শিক্ষক শাহিন আহমেদ বাধা দিতে যান। এ সময় লাঠির আঘাতে তিনি আহত হন। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছুরি ও চাকু হাতে হামলার চেষ্টা করে। বিষয়টি দেখে বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক দ্রুত হস্তক্ষেপ করলে সংঘর্ষ থেমে যায়।

ঘটনার পর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চলমান পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করে। পরে শিক্ষকরা বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে তারা বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে যান।

নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী রাজন আহমেদ বলেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর বিনা কারণে হামলা করেছে। ঘটনার বিচার না হলে আমরা কোনো পরীক্ষায় অংশ নেব না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারেক মাহমুদ বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পরীক্ষার আগমুহূর্তে শিক্ষার্থীরা হঠাৎ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে জড়িতদের সাময়িকভাবে পরীক্ষা থেকে বিরত রেখে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।