কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে গেছে। ঠান্ডার কারণে অনেকে ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা ৪৬৯টি চরের মধ্যে ২৬৯টিতে মানুষের বসবাস। এসব চরের বেশিরভাগ এলাকায় হিমেল বাতাসে মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চররাজিবপুর উপজেলার চরে শীতের তীব্রতা কয়েক গুণ বেশি অনুভূত হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা। শীতের কারণে দিনমজুরদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের জীবিকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ধরলার পার এলাকার বাসিন্দা ফজলু মিয়া (৬০) বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ঘরে পরার মতো মোটা কাপড় নেই। রাতে ঘুমাতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়।
শিক্ষার্থী রাকিব জানায়, শীতের কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় বের হওয়া যায় না, সকালে স্কুলে যাওয়া কঠিন। পড়ালেখাতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। তিনি আরও জানান, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।


