চাঁদপুরে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন।
তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। সকলকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এই ভ্যাকসিন নিরাপদ, কারণ সরকার বিদেশ থেকে এটি ক্রয় করেছে। আর ক্রয়কৃত জিনিস কখনো খারাপ হয় না। পুরো মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন চলবে। সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফল করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই সরকারের এই উদ্যোগ সফল হবে।’
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারী, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম ফয়সাল, আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে) ১৮ কর্মদিবসে জেলায় টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ৮ লাখ ৫ হাজার ২৪৫ জন শিশুকে টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৪ জন এবং ৯ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবহির্ভূত শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪০১ জন। ইতোমধ্যে ৪১ শতাংশ শিশুর অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫৮টি। কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৪২৪টি। টিকাদানকারী দলের সংখ্যা ৩১৩টি। মোট টিকা প্রদানকারী ৬১৬ জন, স্বেচ্ছাসেবী ৯১৯ জন এবং প্রথম সারির তদারককারীর সংখ্যা ৩০৩ জন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন