চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেলকে (২৬) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় মো. মোরশেদ (২৮) নামের একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওর্য়াড হারুয়ালছড়ি ইকুপার্ক সংলগ্ন একটি বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন।
নিহত রুবেল একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, রুবেল পদুয়া ইউনিয়নের হারুয়ালছড়ির একটি বসতঘরে ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মোরশেদ ও আজিম নামের দুই সহযোগী। বুধবার দিনগত রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালায়। প্রথমে ঘরের বাইরে শর্টগানের একটি গুলি ছুড়লে শব্দ শুনে পালিয়ে যান আজিম।
তারা ভেতরে প্রবেশ করে রুবেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জবাই করেন এবং গুলি করে হত্যা করেন। তার বাম হাতে গুলি করেন, গলার বাম পাশে জবাই করেন, বাম হাতের কব্জির অর্ধেক অংশ ও অন্ডকোষ কাটা, বাম পায়ে কোপ দেওয়া ছিল।
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার সাথে থাকা মোরশেদের হাতেও কুপিয়ে যখম করার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
এই ব্যাপারে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আজিমকে থানায় আনা হলে কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানান তিনি এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোরশেদের মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে। কারা কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ভিকটিম রুবেল পদুয়া ইউনিয়ন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে মারামারি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসায়সহ এলাকায় একাধিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অতিষ্ট এলাকার মানুষ দেশের পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। এসব অভিযোগে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন বলে জানান স্থানীয়রা।