ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

কক্সবাজারে দুই দিনব্যাপী ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
কক্সবাজারের পেঁচারদ্বীপের এই মারমেইড বিচ রিসোর্টে ১১ জুলাই শুরু হবে দুই দিনব্যাপী ‘ডিসকোর্স বাই দ্য শোর: ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট-২০২৫’। ছবি- সংগৃহীত

অপরিকল্পিত পর্যটন অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে ‘ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট-২০২৫’।

স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই সম্মেলনের শিরোনাম ‘ডিসকোর্স বাই দ্য শোর’, যা ১১ ও ১২ জুলাই কক্সবাজারের পরিবেশবান্ধব মারমেইড বিচ রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণকারী স্বনামধন্য স্থপতিরা এ সম্মেলনে উপকূলীয় শহর কক্সবাজারের জন্য টেকসই পর্যটন, জলবায়ু সহনশীল স্থাপনা, স্থানীয় বাস্তবতা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে উন্নয়ন ভাবনার দিকনির্দেশনা উপস্থাপন করবেন।

সম্মেলনের প্রথম দিন শুরু হবে ‘ইকো ট্যুরিজম এবং স্থাপত্যচর্চায় টেকসইতা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে। এতে অংশ নেবেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, খোন্দকার হাসিবুল কবির এবং এহসান খান। দিনব্যাপী সেশনে সাতজন স্থপতি তাদের প্রকল্প ও ধারণা উপস্থাপন করবেন। একই দিন বিকেলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি ‘সানসেট মেডিটেশন ও ন্যাচারাল ডিজাইন’ কার্যক্রমও অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বিতীয় দিনে আরও ১০ জন স্থপতি দুটি সেশনে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন। সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মাহমুদুল আনওয়ার রিয়াদ ও নাহাস খলিল পরিচালিত একটি ওপেন ফ্লোর প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। শেষ বক্তব্যে মেরিনা তাবাসসুম সম্মেলনের সারাংশ উপস্থাপন করবেন।

মারমেইড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার এখনো বিকাশমান একটি অঞ্চল। পরিবেশবান্ধব কক্সবাজার গড়তে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও জানান, টেকসই পর্যটন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য যে স্থাপত্য চর্চা দরকার, তা নিয়ে কাজ করা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্থপতিরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।

বর্তমানে কক্সবাজারে অনিয়ন্ত্রিতভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও রেস্তোরাঁ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে অল্প বৃষ্টিতেই শহরের সড়ক প্লাবিত হয়, আর সেই বর্জ্য গিয়ে পড়ে সাগর ও নদীর পানিতে। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পর্যটনের সুবিধা বাড়লেও টেকসই ও পরিকল্পিত উন্নয়নের ঘাটতি স্পষ্ট।

এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পর্যটন এবং পরিবেশবান্ধব স্থাপত্যের মাধ্যমে কক্সবাজারকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা।