শিল্পাঞ্চল খ্যাত ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় এক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতেই সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি খানাখন্দযুক্ত সড়কগুলোতে কর্মজীবী মানুষের চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া ও জোড়পুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দীর্ঘ যানজটের চিত্র দেখা গেছে।
এই সময় রিকশা নিয়ে শাখা সড়ক দিয়ে ভরারী নতুনপাড়া ও রাজফুলবাড়িয়া মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পুরো সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পানি সড়ক ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, সারাবছরই রাজফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারের সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির কারণে ভরারী নতুনপাড়া সড়কের শরিফুল মিয়ার বাড়ির সামনে হাঁটু পানি জমে গেছে।
অপরদিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় গত শুক্রবার সকালে হালকা বৃষ্টিতে সড়কের উপর পানি জমে থাকায় যান চলাচলে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, ‘ময়লা পানির কারণে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিভিন্ন সময় রিকশা উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।’ একই কথা জানিয়েছেন আরেক নারী শ্রমিক। তাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সড়কটি উঁচু করা হোক।
সড়কের পাশে এক দোকানি জানান, ‘সবসময় পানি জমে থাকার কারণে পিচঢালা সড়কের পরিবর্তে ইট সলিং করে বানানো সড়কে খানাখন্দের অভাব নেই। প্রায়ই রিকশা-ভ্যান উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। বছরের পর বছর ধরে এমনটা চলে আসলেও দেখার যেন কেউ নেই। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়কটি মেরামত করা হবে বলে শুনেছি, তবে তারও কোনো খবর নেই।’
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘দোকানের সামনে প্রায় সময় হাঁটুপানি থাকায় ময়লা পানি মারিয়ে কাস্টমার আসে না, তাই ব্যবসা ধস নামেছে।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কলকারখানা ও বাসাবাড়ির বর্জ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল হওয়ায় বছরের প্রথম ভারী বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ‘আমরা ইতিমধ্যে রাজফুলবাড়িয়ার মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কসহ কয়েকটি সড়কের টেন্ডার করেছি। এক মাসের মধ্যে সড়কগুলোর কাজ শুরু করা হবে। বাকি রাস্তাগুলোর সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।’