ফরিদপুরে মহাসড়কের পাশে জঙ্গলে কুড়িয়ে পাওয়া সেই ছেলে নবজাতক অবশেষে নতুন বাবা-মা পেল। উদ্ধার হওয়ার পর শিশুটিকে চিকিৎসা দিয়ে একটি সেফহোমে রাখা হয়েছিল। পরে উপজেলা প্রশাসনের আহ্বানে শিশুটির দায়িত্ব নিতে ৩৪টি দম্পতি আবেদন করে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভায় ফরিদপুরের এক ব্যবসায়ী ও সচ্ছল দম্পতির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।
ফরিদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান জানান, মোট ৩৪ দম্পতির মধ্যে ২৯ জন উপস্থিত হয়ে আবেদন করেন। সাক্ষাৎকার ও তথ্য যাচাইয়ের পর নিয়ম মেনে ওই দম্পতিকে উপযুক্ত অভিভাবক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন বিয়ের পরও সন্তান না হওয়ায় দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করান ওই দম্পতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানতে পারেন তাদের আর সন্তান হবে না। এরপর কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আবেদন করেন তারা। শিশু কল্যাণ বোর্ডের অনুমোদন ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শেষে নবজাতককে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান জানান, শিশুটির আইনানুগ অভিভাবক নির্বাচনে সব আবেদনকারীর তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অভিভাবক নির্বাচন করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নবজাতক তার নতুন পরিবারের কাছে স্নেহ ও ভালোবাসায় বড় হবে।
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ফরিদপুর সদরের ধুলদি রেলগেট সংলগ্ন সহিরউদ্দিন হাফিজিয়া মাদরাসা এলাকার জঙ্গল থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এরপর থেকেই তার আইনানুগ অভিভাবক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।