‘ধারালো বটি চালিয়ে আমার ঘুমন্ত স্বামীর গলা কেটে ফেলছি। আমি আত্মসমর্পণ করবো। তাড়াতাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে আমাকে থানায় নিয়ে যান।’
ঘুমন্ত স্বামীর গলা কেটে থানায় ফোন করে এসব বলেন এক গৃহবধূ।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ও অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
সোমবার (৪ আগস্ট) ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের জনৈক মো. সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. আলমগীর (৩০) ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাকচর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের জনৈক সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
অভিযুক্ত মোছা. ফাতেমা খাতুন (২৮) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার চন্দ্রকান্দা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। তিনি স্বামী মো. আলমগীরের সঙ্গে শ্রীপুরে থাকতেন।
গুরুতর আহত আলমগীরের ছোট ভাই মো. হৃদয় মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ফাতেমার সঙ্গে দীর্ঘ দশবছর পূর্বে আমার ভাইয়ের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আশা মনি নামে আট বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। দুজনের মধ্যে বুঝাবুঝি না হওয়ায় সংসারে ঝগড়া লেগে থাকতো।
তিনি বলেন, আজ ভোর ৫টার দিকে ভাই ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় ঘুমন্ত ভাইয়ের গলায় ধারালো বটি চালিয়ে গলা কেটে ফেলে। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এমন অবস্থা দেখে আমাদের খবর দেয়। এ সময় পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় মাওনা চৌরাস্তা এলাকার আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত নারী মোছা. ফাতেমা খাতুন বলেন, কী কারণে এটা করছি আপনাকে বললে কি সমস্যার সমাধান হবে। এতদিনে যেহেতু হয় নাই তাই বলে লাভ নেই।
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, ভোরবেলা এক নারী থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন করে জানায় স্বামীকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কাটছে। এখন আত্মসমর্পণ করবে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত নারীকে থানায় আসা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী এখনো বেঁচে রয়েছেন, তবে অবস্থা সংকটাপন্ন।
আপনার মতামত লিখুন :