ভাতকে বাঙালিদের জীবনের অন্যতম প্রধান খাদ্য হিসেবে দেখা হলেও গাজীপুরের কাপাসিয়ার শামসুদ্দিন এক ব্যতিক্রম উদাহরণ। জন্মের পর থেকে একবারও ভাত মুখে তুলেননি তিনি। উপজেলার টোক ইউনিয়নের ঘোষেরকান্দি এলাকার জন্মগ্রহণ করা শামসুদ্দিনের বয়স বর্তমানে ৬০ বছরেরও বেশি।
শিশুকাল থেকেই কখনো ভাত খাননি তিনি। মিষ্টি, রুটি, চিড়া-মুড়ি জাতীয় শুকনো খাবারেই তার প্রধান খাদ্যাভ্যাস গড়ে উঠেছে। নিজেই জানান, ‘ভাতের গন্ধেই অস্বস্তি লাগে, ছোটবেলা থেকেই খাই না, এখন আর পারি না।’
প্রতিদিন তিন বেলা ভাতের পরিবর্তে তিনি খেয়ে থাকেন চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ও রুটি। এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আলামিন হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই শামসুদ্দিনকে ভাতবিমুখ হিসেবেই দেখেছি। বিষয়টি শুনলে অনেকেরই অবাক লাগতে পারে।
জ্যাকি নামের একজন এলাকার বাসিন্দা বলেন, ‘আমি বড় হয়ে শুনেছি ওনি ভাত খেতে পারেন না। ভাত দেখলেই বমি হয়। বাংলাদেশে এমন ঘটনা বিরল।’
পরিবারের সবাই যখন ভাত খায়, তখন শামসুদ্দিন সেখানে বসেন না। তার জন্য আগেই শুকনো খাবার রাখা হয়। কোনো অনুষ্ঠান বা বিয়েতে তিনি অন্যদের সঙ্গে একসঙ্গে ভাত খান না, বরং নিজের খাবার সঙ্গে নিয়ে দূরে বসে খান।
এলাকাবাসী মনে করেন, জন্ম থেকে ভাত না খেয়েও সুস্থ-সবল থাকা শামসুদ্দিন একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
আপনার মতামত লিখুন :