১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে তরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রমণ সূচিত হয়। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌম দেশ—বাংলাদেশ। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে একটি মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১ নভেম্বর (শুক্রবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিকে অভ্যর্থনা জানান মেজর জেনারেল সৈয়দ সাব্বির আহমেদ, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, কমান্ড্যান্ট, বিওএফ।
প্রধান অতিথি তার স্বাগত ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে রাজেন্দ্রপুর অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রাজেন্দ্রপুর অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং আগত সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবারের সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
এ ছাড়াও প্রধান অতিথি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন।
তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার বিষয়েও আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
