দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করতে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন, কাস্টমস, বিজিবি, পুলিশ প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপসচিব মো. রাশেদুল ইসলাম।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্ট বন্দর অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, নানা সমস্যায় জর্জরিত বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ঘাটতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। কাস্টমস, বন্দরের দুর্বল নিরাপত্তার কারণে প্রতিনিয়ত শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে বন্দর থেকে আমদানি পণ্য পাচার বাড়ছে। এ অবস্থা সামনের দিনে রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের বিরুপ প্রভাব পড়বে।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে প্রতিনিয়ত বন্দরে দালাল চক্রের প্রতারনার শিকার হচ্ছেন দেশ বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। চলমান সমস্যা সমাধান করে বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান নেতারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বন্দরের কথা বিবেচনা করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল নির্মান এবং শুল্ক ফাঁকি রোধ ও পণ্য চুরি হওয়ার বিষয়ে বিশেষ নিরাপত্তা এবং আমদানি পণ্য নজরদারিতে রাখার জন্য দাবি জানান।
প্রধান অতিথি বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘বেনাপোল স্থল বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এ স্থল বন্দর থেকে দেশে সিংহভাগ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। স্থল বন্দরের কাজ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা, তাদের পণ্য আটক নয়। এই বন্দরের সাথে অন্য কোনো বন্দরের তুলনা করা যাবে না। এ বন্দরকে অন্য বন্দরের চেয়ে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ পথে ভারত থেকে দেশের সিংহভাগ পণ্য আমদানি হয়। সেই সাথে রপ্তানিও বেশি হয়ে থাকে। তাই বন্দরের চুরি ছিনতাই সবকিছু রোধ করার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও সিকিউরিটি বাহিনী। ব্যবসায়ীদের আমদানি পণ্যর সুরক্ষার জন্য রয়েছে ফায়ার সার্ভিস টিম। এই টিমের কাছে যে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রয়েছে তা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে।’



