কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত প্রধান চলাচলের সড়কটি এখনো পাকাকরণ করা হয়নি। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন ৩-৪টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
সড়কটির পাকাকরণ করে তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রাস্তাটি আজও আধুনিকতার ছোঁয়া পায়নি। গোবিন্দপুর বাজার, গাংগাটিয়া বাজার, স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জরুরি সেবার কাজে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একমাত্র চলাচলের রাস্তা। গোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা করতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত কাদা-পানি মাড়িয়ে পাড়ি দিতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন আলাদীন মেকানিকের দোকান থেকে শুরু করে ফকির বাড়ি পর্যন্ত এলজিইডির সড়কে সংযুক্ত দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই কাঁচা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে কাদা-পানি। খানাখন্দে ভরে গেছে সড়কটি।
গোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফিয়া সুলতানা বলেন, ‘বৃষ্টির দিনগুলোতে কাদার মধ্য দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। যা খুবই কষ্টকর। জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায়, প্রায়ই পিছলে পড়ে যাই। অনেক সময় স্কুলে পৌঁছাতেই দেরি হয়ে যায়।’
একই এলাকার কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে খেত-খামারে মালামাল আনা-নেওয়া করতেও কষ্ট হয়। বর্ষাকালে মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। খেতের ফসল বাজারে নিতেও অনেক কষ্ট করতে হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন এলাকার মানুষ স্কুল, হাসপাতালে যাতায়াত করে। কাদা-পানি আর গর্তে ভরা এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।’
আরেক প্রবীণ বাসিন্দা আলি নেওয়াজ বলেন, ‘আমাদের বোয়ালিয়ার চর গ্রামের এই রাস্তা বছরের পর বছর ধরে এমনই কাঁচা পড়ে আছে। সরকারের কাছে বহুবার ধরনা ধরেও কাজ হয়নি।’
স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রশিদ বলেন, ‘বোয়ালিয়ার চর, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ বোয়ালিয়ার চর এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’
এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মুর্শেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’