শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম

কিশোরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু, আহত ১০

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম

ঘটনাস্থলে প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঘটনাস্থলে প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে হিমেল মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, এদের মধ্যে রয়েছেন রাজীব মিয়া।

নিহত হিমেল মিয়া বৌলাই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। আহত রাজীব মিয়া একই এলাকার মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বৌলাই এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা যুবদলের সহ-তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস রাজন এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমদাদুল হক—দুজনই বৌলাই এলাকার বাসিন্দা। গত ৫ আগস্ট থেকে তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এক সপ্তাহ আগে মাদক সেবনের সময় দুই গ্রুপের কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পরদিনও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিরোধের জের ধরেই শুক্রবার সকালেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।

সংঘর্ষ চলাকালে হিমেল মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হন তার ভাই রাজীব মিয়া। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে হিমেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত হিমেল যুবদল নেতা রাজন মিয়ার খালাতো ভাই এবং গুলিবিদ্ধ রাজীব তার সহোদর।

বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজকের সংঘর্ষ সেই বিরোধেরই পরিণতি। শুনেছি হিমেলকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছে।’

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘এমদাদ ও রাজন দুজনই যুবদলের নেতা। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। আজ সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হিমেল গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান। রাজীব নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিহতের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

Link copied!