মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২০ শতাধিক পরিবারের অর্ধ শতাধিক বাসিন্দা। ওয়াল টপকিয়ে বড়রা চলাচল করলেও দুর্ভোগে পড়েছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এদিকে রাস্তা বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর মধ্যে।
জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার ধল্লা মৌজায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে অল্প অল্প জমি কিনে প্রায় ২০টি পরিবার বসতি গড়ে তুলেছে এবং প্রায় এক দশক ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার আব্দুল সাত্তার গং সেই জমিতে চলাচলের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের উভয় দিকেই বেড়া দিয়ে আটকে দেয়। এতে লোকজন যাতায়াতের উপায় না পেয়ে দিশেহারা হয়ে ওয়াল টপকিয়ে বা বেড়ার ফাঁক দিয়ে কষ্টসহকারে চলাচল করছে।
ভুক্তভোগী জাকির, আক্তার ও সুজনসহ অনেকে অভিযোগ করেন, উভয়পাশে বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ায় তাদের চলাচল অনেক কষ্টসাধ্য হচ্ছে। এটি অমানবিক কাজ। তারা বলেন, “আল্লাহ একজন আছেন, ঠিকই অন্যায়কারীদের বিচার করবেন। আব্দুল সাত্তার গং সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের এভাবে আটকে রেখেছে। আমরা হাঁটাচলার জন্য রাস্তাটি চাই। প্রয়োজনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইবো।”
স্থানীয় বিএনপি নেতা লাবু সরকার, যুবদল নেতা এনামুল, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মহসিনসহ অনেকে বলেন, স্বাধীন দেশের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা আছে। দেশের কেউ খাবারের কষ্ট, থাকার ঘরের কষ্ট বা চিকিৎসার কষ্ট ভোগ করবেন না এবং নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তাই তারা এটি নিশ্চিতভাবে পাবেন। এছাড়া চলাচলের রাস্তা বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সেটি অবিলম্বে অবমুক্ত করার আহ্বান জানান সচেতন নাগরিক সমাজ।
বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক লাবু সরকার বলেন, ‘আমি নিজের অর্থ দিয়ে প্রায় ২ কিমি রাস্তা এলাকাবাসীর জন্য তৈরি করেছি। এটি করতে পেরে আল্লাহর কাছে লাখ শুকরিয়া জানাই। সেই সঙ্গে চলাচলের রাস্তাটি অবমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’
এদিকে আব্দুল সাত্তার গংদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’