বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

একদিনে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, তলিয়ে গেছে ময়মনসিংহ নগরী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

পানি যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাচালক। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

পানি যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাচালক। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে একদিনে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এতে তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছে মানুষ।

শনিবার (৩১ মে) সকাল ৬ টা থেকে রোববার (১ জুন) সকাল ৬ টা পর্যন্ত ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, আজ সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতাকে এই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন নগরবাসী। তাদের অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ড্রেন পরিষ্কার না রাখার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই শহর পানিতে ডুবে যায়।

প্রবল বৃষ্টিপাতে নগরীর সানকিপাড়া, গোলকিবাড়ী, নতুন বাজার, গাঙ্গিনারপাড়, বলাশপুর, খাগডহর, চরপাড়া, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এবং রেললাইন বস্তি এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। অনেক দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাড়ি মাঝপথে বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেককে কোমর পানি ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়লে বিপাকে পড়েন মানুষজন। এর জন্য অপরিকল্পিত নগরায়নকে দায়ী করেন মানুষজন। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজাতুল কোবরা বলেন, সকাল থেকেই প্রচুর বৃষ্টি। বাসা থেকে বের হয়ে সানকিপাড়া আসতেই দেখি কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পানিতে তলিয়েছে। খুব কষ্ট করে স্কুলে এসেছি। 

পথচারী সাইফুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নত না হওয়া। কয়েক বছর ধরে ড্রেনের কাজ করা হলেও সুফল পাচ্ছি। বেঁচে থাকতে সুফল পাব কি-না তাও জানিনা। 

সানকিপাড়া বাজারের দোকানী আবুল হোসেন বলেন, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে দোকানের ভেতর হাঁটু পানি। মালামাল সব ভিজে গেছে। সিটি করপোরেশনের গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রতিবছর এই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

অটোরিকশা চালক রুহুল আমিন বলেন,  শহরের প্রত্যেকটি রাস্তা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কোনো ভাবেই রিকশা চালাতে পারছি না। বর্ষাকালে প্রায়ই এমন ভোগান্তিতে হয়। 

শিক্ষার্থী মাহফিদুল ইসলাম বলেন, পঁচা-দুর্গন্ধ পানি দিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীর অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে যায়। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ।  

ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক নির্মল চন্দ্র মজুমদার জানান, নিম্নচাপটির অবস্থান বর্তমানে উড়িষ্যার দিকে আছে। এটি বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা আপাতত নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৪ থেকে ৬ নটিক্যাল মাইল। 

তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আরও কমে আসবে। তবে গতকাল এবং আজ সকাল ৯ টা পর্যন্ত যে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, তা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি। 

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া জানান, নগরীতে অনেকগুলো ড্রেনের পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। আবার নতুন করে ১২০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে। এগুলো শেষ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

তিনি আরও জানান, এ বছর কিছুটা জলাবদ্ধতা সমস্যা থাকলেও সামনের বছর উপকৃত হবে নগরবাসী। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার জন্য। 

Link copied!