ঈদযাত্রায় এবারও ময়মনসিংহগামী ট্রেনগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। কর্মজীবী নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ ভোগান্তির মধ্যেই বাড়ি ফিরছেন। তবে সব কষ্ট সয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে নিরাপদে ঈদ করার প্রত্যাশায় তারা রওনা হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়াগামী বলাকা এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে দেখা গেছে ঈদ যাত্রার এই চিত্র।
দুটি ট্রেনের ভেতরে ও বাহিরে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ছাদে বিপদজ্জনকভাবে ভ্রমণ করতেও দেখা গেছে কয়েক হাজার যাত্রীদের।
যাত্রীরা জানান, যারা এখন বাড়ি ফিরছেন তারা সবাই কর্মজীবী। গতকাল ৫ জুন সবার ছুটি হয়েছে। এতে ঘরমুখী মানুষের বাড়তি চাপ সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তির মুখেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সবার।
তবে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারলে এই কষ্ট আর থাকবে না বলেও জানান দেওয়াণগঞ্জগামী গার্মেন্টস কর্মী মো. ইব্রাহিম খলিলসহ আরও অনেকেই।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেন্ডেট মো. নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ বেশি। এ কারণে পথে পথে যাত্রী নামতে সময় লাগছে বেশি। এতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। তবে কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছে- দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা, অগ্নিবীণা, জামালপুর এক্সপ্রেস, ঈদ স্পেশাল, কমিউটার, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, বলাকাসহ প্রায় দুই ডজন ট্রেন।’
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কপালে ঈদ নেই ভাই। ট্রেন ও যাত্রী সামলেই আমাদের সময় কাটছে। পরিবারের খোঁজ নেওয়ার সময় পাচ্ছি না। তারপরও সবার ঈদ হোক আনন্দময় ও নিরাপদ। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’