সকাল ৯টায়ও ছিল বিপৎসীমার বেশ নিচে। দুপুর ৩টায় পানি প্রবাহিত হয়েছিল আরও নিচে। কিন্তু সন্ধ্যার আগে হঠাৎই বাড়তে থাকে তিস্তার পানি। ৬টায় বিপৎসীমা বরাবর এবং ৭টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সে. মি. ওপরে।
উজানে প্রবল বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের মানুষ। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সবশেষ (২৯ জুলাই, মঙ্গলবার) তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২.২০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়, যা বিপৎসীমা ৫২.১৫ মিটারের চেয়ে ৫ সেন্টিমিটার বেশি।
এই পয়েন্টে সকাল ৯টায়ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। দুপুর ৩টায়ও বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বলে পাউবোর তথ্য।
কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার দিকে আকস্মিকভাবে পানি বেড়ে বিপৎসীমা বরাবর অবস্থান করে। সন্ধা ৭টায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি দ্রুত বাড়ছে।
‘সন্ধ্যা ৭টায় পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’ বলেন প্রকৌশলী অমিতাভ।
নির্বাহী প্রকৌশলী এও বলেন, ‘আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ থেকে জানা গেছে, মধ্যরাতে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যেতে পারে।’
পাওবো সূত্র বলছে, তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটের সবকটিই এখন খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর চাষাবাদ ও বসতঘর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ফলে তিস্তাপাড়ের মানুষের মধ্যে নতুন করে বন্যা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :