নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একরাতে ২ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা এক বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ এবং অন্যবাড়ি থেকে ১০ আনা স্বর্ণসহ নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ ড্রাইভারের বাড়ি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারি বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেম্পান কোনীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদজু ফৌল আজিম।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আজাদ ড্রাইভারের নতুন বাড়ির বিল্ডিংয়ের লোহার দরজার লক ভেঙে ৮-৯ জন মুখোশধারী ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র হাতে ঘরে প্রবেশ করে।
একপর্যায়ে ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, রাত ৩টার দিকে একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লাহরি বাড়ির নূর ইসলাম সিদ্দিকের বিল্ডিংয়ের দরজার লক ভেঙে ডাকাতদল ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-মুখ বেঁধে ১০ আনা স্বর্ণসহ নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাকাত দলের সদস্যদের পরনে প্যান্ট-লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জি-শার্ট ছিল। তারা স্থানীয় ভাষায় কথা বলে। তাদের বয়স ২৫-৩৫-এর মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জের দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্ছি মাসুদ (৩৫) ও তার সাঙ্গীরা এসব ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পিচ্ছি মাসুদ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তবারক আলী ভূঁইয়া বাড়ির মো. আবুল কাশেম ওরফে আবুল খায়েরের ছেলে।’
তারা আরও বলেন, ‘পিচ্চি মাসুদ আত্মগোপনে থাকা বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, খুন, মাদক ও পুলিশের ওপর আক্রমণসহ প্রায় ২৫টি মামলা রয়েছে। জনশ্রুতি রযেছে, এর আগে পিচ্চি মাসুদ কারাগারে থেকেও অনেক ডাকাতির নির্দেশনা দিয়েছিল।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্চি মাসুদকে কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘পাশাপাশি দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এক বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। আরেক বাড়ি থেকে তেমন কিছু নিতে পারেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।