নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িতদের নাম জানাতে পারেনি।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সারেং বাড়ির দরজায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে কান কাটা কাদিরা (৪২) চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোফরান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাদের ৭/৮ মাস আগে বিয়ে করে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু যুবকের সাথে কাদেরের বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সারেং বাড়ির দরজায় তাকে কে বা কাহারা বেধড়ক পিটিয়ে ও মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। কাদেরর বিরুদ্ধে মারামারি, মাদকসহ ৪ টি মামলা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে কাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান নিহত যুবকের শ্বশুরের বরাত দিয়ে বলেন, ওই যুবক অপরাধ জগতে জড়িত থাকায় পরিবারের সাথে তেমন সম্পর্ক ছিলনা। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


