ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

পাবনায় বালুমহালের আধিপত্য নিয়ে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৭

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
প্রতীকী ছবি

পাবনায় পদ্মা নদীতে বালুমহালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকদের ওপর গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে ঈশ্বরদীতে এ ঘটনা ঘটে।  
 
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর সাড়াঘাট এলাকায় বালুমহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক টনি বিশ্বাস ও নাটোরের লালপুর এলাকার বালু ব্যবসায়ী কাকনের মধ্যে বিরোধ চলছিল।   

বৃহস্পতিবার টনি বিশ্বাসের লোকজন সাড়াঘাট এলাকায় বালু উত্তোলন করছিল। এ সময় কয়েকটি নৌকায় করে আসা দুর্বৃত্তরা বালু উত্তোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 

বালু উত্তোলনকারী টনি বিশ্বাসের দাবি, তিনি সরকারি অনুমোদন নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার কাকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। 

তবে তার পক্ষের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঈশ্বরদী প্রান্তের ইজারাদারের লোকজন এই প্রান্তের লোকজনকে বালু উত্তোলনে বাধা দিয়েছিল। মূলত সেই ঘটনার সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’

একটি সূত্র জানিয়েছে, নদীতে বালুমহালের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। 

ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, ‘কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদীর সীমান্ত এলাকায় নদীর মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’ 

ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা নৌ-থানার ওসি ইমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে তার আগেই নৌকা ও স্পিডবোট নিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’