পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত হনুফা নুরআলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ঘর নির্মাণ, বিদ্যালয়ের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং পুড়িয়ে ধ্বংস করার অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বিদ্যালয়টির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়টির মাঠ অবৈধভাবে দখল করে চারপাশে চট দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, এর ফলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারায় শিক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টায় দুমকি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. সাইফুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড চরবয়ড়া গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ২০০৬ সালে হনুফা নুরআলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর ২০ শতক জমি ক্রয় করে এমপি ৯৩২/১১ এর আদেশ ও স্থানীয় সালিশগণের রোয়েদাদনামার মাধ্যমে মীমাংসিত জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলমান স্কুলটিতে গত ১৭ জুন রাত ২টার দিকে স্থানীয় মুসা হাওলাদার, রাকিবুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, আ. কুদ্দুস, মো. সিদ্দিক ও মো. শাহিন হাওলাদার দেশীয় অস্ত্রসহ উপস্থিত হয়ে স্কুল মাঠের কাঁটাতারের পিলার উপড়ে ফেলে, চটের বস্তা ও টিন দিয়ে স্কুল ঘর ও খেলার মাঠ ঘিরে ফেলে এবং ‘মুসা মঞ্জিল’ নামে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দখল করে নেয়।’
এ সময় তারা বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ড, বেঞ্চ, বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান, স্টিলের আলমারি ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে স্কুল ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আলমারিতে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, পুরাতন পরীক্ষার খাতা, রেজিস্টার বই ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী পুড়িয়ে ফেলে। এ ছাড়াও স্কুলের অধিকাংশ টিনের চাল উপড়ে ফেলা হয়।
বর্তমানে স্কুল মাঠে চট ও টিনের বেড়া থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশ করতে পারছে না এবং শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি জানান, এ ঘটনায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে স্কুলঘর ও মাঠ অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালুর জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত মুসা হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।