পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান ও মঠবাড়িয়া কামিল মাদ্রাসার (পূর্বের নাম বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা কামিল মাদ্রাসা) অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এসেও নিয়মিত বেতনভাতা সহ সকল প্রকার সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার প্রতিকারের জন্য মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ হাওলাদারের ছেলে।
মিজানুর রহমান জানান, গত আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ তিনি বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম সহ ৪২ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত শতাধিক আসামির বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়াও তুষখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবরে বিস্ফোরক আইনে আরও একটি মামলা হয়। এ মামলা হওয়ার পর থেকেই তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই দুই শিক্ষক ‘আত্মগোপনে’ গেছেন।
মিজানুর রহমান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, দুই শিক্ষক পলাতক অথচ গভীর রাতে, ভোরে অথবা সুবিধাজনক সময়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় সই করেন তারা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে নিয়মিতভাবে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাধিকবার গিয়েও তাদেরকে পাওয়া যায় নি। কিন্তু হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক-কর্মচারি কথা বলতে রাজি হননি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসেন না।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক পলাতক থাকায় এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন