বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

ছাত্রলীগ নেতার দুর্নীতিবাজ স্ত্রী এখন ভান্ডারিয়ার ইউএনও, নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে শঙ্কা

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হলেও পিরোজপুরের কয়েকটি উপজেলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অনুগত কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এখনো মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তাদেরই একজন ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এই ইউএনওর স্বামী রাশেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।

গত বছর গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগে রেহেনা আক্তার গাজীপুরের শ্রীপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও শিল্পপতি সালমান এফ রহমানের সুপারিশে ২০২২ সালে তিনি শ্রীপুরে এসিল্যান্ড হিসেবে নিয়োগ পান।

চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই রেহেনা আক্তার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। একই সঙ্গে সালমান এফ রহমানের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সে সময় এসব অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে নামজারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের পরও তিনি পদোন্নতি পেয়ে ইউএনও হন।

অভিযোগ রয়েছে, শ্রীপুরে দায়িত্ব পালনের সময় এক রাতে অফিসে টাকা ভাগাভাগির সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কর্তৃক আকস্মিক পরিদর্শনে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে তাকে এসি-ল্যান্ড পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বর্তমানে ভান্ডারিয়া ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, আর্থিক তছরুপ ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে তালা মারা, প্রশাসনিক কাজে অনিয়ম ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগও রয়েছে।

ভান্ডারিয়া পৌরসভার মেয়র অনুপস্থিত থাকায় রেহেনা আক্তার বর্তমানে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই দায়িত্ব পালনের সময় ঠিকাদারদের বিল প্রদান নিয়ে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকায় একক ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে এডিপি ও রাজস্ব তহবিল তছরুপসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমন পরিস্থিতিতে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের স্ত্রী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবেন কি না, এ নিয়ে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার বলেন, ‘দিন-রাত পরিশ্রম করে কাজ করি। এভাবে মিথ্যা অভিযোগ শুনতে সত্যিই বিরক্ত লাগে। দিন-রাত কাজ করে দম ফেলার সুযোগ পাই না, আর আপনারা এসব লেখার সময় পান কীভাবে?’

Link copied!