জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন দমন ও হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে সংগঠিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সহিংসতা চালানোর অভিযোগে জয় ও তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে প্রসিকিউশন।
প্রসিকিউশনের ভাষ্য অনুযায়ী, তিন সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনের সময় দফায় দফায় মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়। বিশেষ করে ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। পাশাপাশি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম প্রায় ১৩ দিন কার্যত অচল রাখা হয়, যা ৫ আগস্ট দুপুরের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
প্রসিকিউশন মনে করছে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার এই নিয়ন্ত্রিত অচলাবস্থা মাঠপর্যায়ে দমনমূলক অভিযান পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা রেখেছে, যার ফলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এদিকে পৃথক আরেক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধেও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি এবং কঠোর দমননীতি গ্রহণের বিষয়ে তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরামর্শ দিয়েছেন।
সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে বৃহস্পতিবার অথবা আগামী সপ্তাহে সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলক এবং আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হতে পারে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন