বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম

দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই বিচার নয় : চিফ প্রসিকিউটর

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি - সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি - সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে র‍্যাবের টিএফআই সেলে বিরোধী মতাদর্শের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় যে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে, তা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

চিফ প্রসিকিউটর জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচারকে মিশিয়ে দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে আদালত জানিয়েছে, এটি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিচার নয়। আসামিরা সামরিক শৃঙ্খলার বাইরে থাকাকালীন সময়ে র‍্যাবে দায়িত্ব পালনকালে এই অপরাধ করেছেন, যা মানবতাবিরোধী হিসেবে গণ্য।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, আদালত সব নাগরিককে আইনের দৃষ্টিতে সমান বিবেচনা করে। আসামিরা বিচারের আগে ইনোসেন্ট ধরা হবে, তবে তারা পলাতক বা অন্য আসামিদের মতো অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন না।

এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষের অব্যাহতির আবেদন পর্যালোচনার পর ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে।

সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে গ্রেপ্তারকৃত ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছিলেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

পলাতক আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষা বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং র‍্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম রয়েছেন।

ট্রাইব্যুনাল আগেই সাতদিনের মধ্যে দুটি জাতীয় পত্রিকায় পলাতক আসামিদের হাজিরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। ৮ অক্টোবর মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন, যা পরে ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করেছে।

Link copied!