রাজশাহীর পবার নওহাটায় যাত্রীবাহী একটি বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নওহারা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির অফিসের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজ ছাত্রের নাম কাজল (২৫)। তিনি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামের নিপেন চন্দ্রের ছেলে। কাজল রাজশাহী কলেজে মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
পবা থানা ওসি মুনিরুল ইসলাম জানান, প্রায় ৪০ যাত্রী নিয়ে নওগাঁর নজীপুর থেকে রাজশাহীগামী বাসের সঙ্গে নওগাঁগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পদ্মা পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের উপর উল্টে যায়। এতে অন্তত ২০ জনের বেশি আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ১, ৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছাড়াও দেওয়া হয়েছে।
নিহত কাজলের বন্ধু সৌরভ দাস বলেন, ‘আমরা দুইজন পাশাপাশি সিটে বসা ছিলাম। বাস উল্টে যাওয়ার সময় কাজল নিচে পড়ে যায়। এতে সে চাপা পড়ে। আমি বাসের ভিতরে ছিলাম, আমার পায়ে আঘাত লেগেছে।’
গুরুতর আহতরা হলেন- মান্দার কুসুম্বা গ্রামের বকুলের স্ত্রী উশা (৩৫), তার ছেলে তুষার (১০), নগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডি এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিউলি খাতুন (৪০), তার মেয়ে রুমানা খাতুন (১৪) এবং পাবনার জেলার ইশ্বরদী থানার মুলডিলা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে, বাস ড্রাইভার জমিরুল ইসলাম (৫৫)।
পবা থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।’
