ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

গরুকেও আবাসিক হোটেলে রাখা যায় ৫০ টাকায়

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
৫০ টাকায় এক রাত গরুকে রাখা যায় এই হোটেলে। ছবি- সংগৃহীত

গরুর জন্য আবাসিক হোটেল! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটিই সত্যি। মাত্র ৫০ টাকায় এক রাত গরুকে রাখা যায় এই হোটেলে।

রংপুর মহানগরীর প্রবেশমুখ মডার্ন মোড়ের ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে এই গরুর আবাসিক হোটেল। এখন গরুর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও কোরবানির ঈদ এলেই জমজমাট হয়ে ওঠে এই ব্যতিক্রমী ব্যবসা।

হোটেলে রয়েছে গরুর জন্য নির্দিষ্ট থাকার স্থান, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও খাওয়ানোর ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা রংপুরের হাটে গরু কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়ার পথে এই হোটেলে বিশ্রাম নেন। এতে গরুর যত্ন যেমন নিশ্চিত হয়, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।

গরু ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, এখানে গরু রেখে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। এক রাত বিশ্রাম নিয়ে গরু নিয়ে যাত্রা করা সহজ হয়। তাই নিয়মিতই এখানে রাখি।

হোটেলে চারজন কর্মচারী সার্বক্ষণিক গরুর দেখাশোনা করেন।

তাদের একজন বলেন, গরুর যত্ন নিতে ভালো লাগে। যারা গরু নিয়ে আসেন, তাদের সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের লক্ষ্য।

জানা গেছে, রংপুরের লালবাগ, বড়াইবাড়ি, শঠিবাড়ি, আমবাড়ি, বেতগাড়ি, আফতানগরসহ বিভিন্ন হাট থেকে ব্যবসায়ীরা গরু কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। গরুর দীর্ঘ যাত্রাপথে বিশ্রাম ও খাবারের সুবিধা না থাকায় অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়। এ থেকেই আবাসিক হোটেলের ধারণা আসে উদ্যোক্তা আসানুর রহমানের মাথায়।

রংপুর মহানগরীর দেওডোবা এলাকার বাসিন্দা এই শৌখিন উদ্যোক্তা সাত-আট বছর আগে গরুর জন্য হোটেলটি নির্মাণ করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৩০-৪০টি গরু এখানে থাকে। ঝড়-বৃষ্টি বা গরমে গরু ও ব্যবসায়ীরা আগে খুব কষ্ট পেতেন। এখন নির্বিঘ্নে বিশ্রাম নিতে পারছেন। এতে অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা সাধারণত এক বা দুই রাত গরু রেখে যান, প্রতিটি গরুর জন্য দিতে হয় ৫০ টাকা করে। প্রায় ১০০ গরু রাখার মতো জায়গা রয়েছে হোটেলটিতে। রাত্রিযাপনের পর এখান থেকেই ট্রাকে গরু পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।