বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফজলুল করিম, শেরপুর

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী তুলশীমালার চাল স্বাদে ও সুগন্ধে অনন্য

ফজলুল করিম, শেরপুর

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

শেরপুরের তুলশীমালা ধান। ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

শেরপুরের তুলশীমালা ধান। ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

শেরপুর জেলার অন্যতম ঐতিহ্য তুলশীমালা সুগন্ধি চাল। এ চালের পিঠা–পায়েস, খই–মুড়ি, ভাতের সুগন্ধ ও স্বাদ অসাধারণ। ‘পর্যটনের আনন্দে, তুলশীমালার সুগন্ধে’ স্লোগান সামনে রেখে শেরপুর জেলা প্রশাসন এটিকে জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। তুলশীমালা ধান থেকেই এই চাল উৎপাদন হয়।

তুলশীমালা চাল চিকন ও সুগন্ধি, যা শেরপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়। উচ্চ গুণসম্পন্ন তুলশীমালা চাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ। ঈদ, পূজা–পার্বণ, বিয়ে, বউভাতসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে পোলাও, বিরিয়ানি ও মিষ্টান্ন তৈরিতে এ চালের জুড়ি নেই।

শেরপুরের সদর উপজেলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, নকলা, শ্রীবরদীসহ পাঁচটি উপজেলায় আট হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে তুলশীমালা ধান চাষ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আবেদনক্রমে শিল্প মন্ত্রণালয় তুলশীমালা ধানকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। যারা জিআইয়ের জন্য আবেদন করেন, তাদেরই দেওয়া হয় মেধাস্বত্ব।

তবে চাইলেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। বেশকিছু প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আবেদনকারী কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি যে মৌলিকভাবে শুধু বাংলাদেশেই হয়, তার প্রমাণ দিতে হয়। ডিপিডিটির একটি কমিটি তা মূল্যায়ন করে ওই স্বীকৃতি দেয়। এরপর সংস্থাটির জার্নালে তা প্রকাশ করা হয়।

বাজিতখিলা এলাকার স্থানীয় কৃষক মো. শাহজালাল খান জানান, তুলশীমালা ধান চাষ করতে খরচ কম, লাভ বেশি, তাই আমরা প্রতি বছরই তুলশীমালা ধান চাষ করে থাকি। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ ধানের আবাদ আরও বাড়ত।

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, তুলশীমালা ধানকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তুলশীমালা ধান রোপা আমন মৌসুমে উৎপাদিত হয়ে থাকে। জেলার সদর, নালিতাবাড়ী, নকলা, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রায় আট হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়।

জেলার অর্ধশত স্বয়ংক্রিয় চালকলে তুলশীমালা চাল উৎপাদন করা হয়। প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার টন চাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ এবং বিদেশে রপ্তানি করা হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!