ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

সাদা পাথরে লুটপাট, সেই বিএনপি নেতার সব পদ স্থগিত

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ০৯:২০ এএম
বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন। ছবি- সংগৃহীত

পাথর লুট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের দলীয় সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। 

সোমবার (১১ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাহাব উদ্দিন সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি। বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর পরিবর্তে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

সরকার পরিবর্তনের পর ভোলাগঞ্জের সরকারি একরাধিক ভূমি দখল এবং স্থলবন্দর ও পর্যটন কেন্দ্রে নির্মাণ সামগ্রী লুটপাটের পেছনে সাহাব উদ্দিনের নাম উঠে এসেছে। 

স্থানীয় পাথর কোয়ারি থেকে পাথর লুটে তাঁর সম্পৃক্ততা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ চলছিল।

গত মার্চে জেলা বিএনপি তাঁকে শোকজ করেছিল এবং পরবর্তীতে দলের তদন্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, সাদা পাথরের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও লুংলংপুঞ্জির পাহাড়ি ঝরনা থেকে বছরজুড়ে পানি প্রবাহিত হয়। বর্ষায় ঢলের পানির সঙ্গে ভেসে আসে পাথরখণ্ড। এসব পাথরের মান ভালো হওয়ায় চাহিদাও ব্যাপক। আগে এগুলো স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সীমিত পরিসরে সংগ্রহ করা হতো, এখন তা রূপ নিয়েছে ‘অবাধ লুটপাটে’।

স্থানীয়রা বলছেন, গত এক বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার পাথর লুট হয়ে গেছে, অথচ নেই প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ।

তারা আরও বলছেন, গত দুই সপ্তাহে একাধিকবার পাহাড়ি ঢল নামে। ঢলের পর পাথরের স্তর গড়ে উঠলেও এখন দেখা যাচ্ছে কেবল বালু। পরে সেই বালুর নিচ থেকে অবাধে তুলে নেওয়া হচ্ছে পাথর। প্রায় প্রতিদিনই শত শত নৌকা করে নেওয়া হচ্ছে এসব পাথর। 

শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, এখন আর রাতের আঁধারে নয়, দিবালোকে প্রশাসনের সামনেই চলে লুট।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ‘লুটের নেপথ্যে রয়েছেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই এই লুটপাটের মাত্রা বেড়েছে। বিএনপি ও যুবদলের নেতারা সরাসরি জড়িত। তবে প্রশাসন ‘লোক দেখানো অভিযান’ চালিয়ে দায় সারছে।’