ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

সিলেটে আদালত প্রাঙ্গণে হামলা, গুরুতর আহত ২

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
মহানগর দায়রা জজ আদালত। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিলেট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে একটি চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনা ঘটেছে। যৌতুক নিরোধ আইনের মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী আদালত চত্বরে হামলা চালান। এতে আসামিপক্ষের দুই জন গুরুতর আহত হন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় এ মামলার রায় ঘোষণা হয়।

আহতরা হলেন: সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন (৫৭), সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিকুর রহমান (২৯)।

বিশ্বনাথ থানার সিআর মামলা নং ৪৯৭/২০২৩, যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় করা মামলায় একমাত্র আসামি মো. আব্দুস শুকুর (৪০)-কে খালাস দেন আদালত।

বিচারক ছিলেন চিফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের আব্দুল্লাহ আল নোমান। 

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী মোছা. নুরজাহান বেগম (৩৮) আদালতের ৬ষ্ঠ তলা থেকে দৌড়ে ৩য় তলায় গিয়ে আসামিপক্ষের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট ভাই মনজাম মিয়া (২৮)।

চোখের সামনে খালাসের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মোছা. নুরজাহান বেগম ও তার ভাই চাকু, হাতুড়ি ও রেঞ্জ দিয়ে আসামিপক্ষের ওপর আক্রমণ চালান। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে আসামিপক্ষ নিজেদের রক্ষা করতে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে আশ্রয় নেন।

আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য ও আইনজীবীদের দ্রুত হস্তক্ষেপে হামলাকারী নুরজাহান বেগম ও তার ভাই মনজাম মিয়াকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে চাকু, হাতুড়ি ও রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। হামলার পর আদালত প্রাঙ্গণে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে মামলার রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বাদী ও তার ভাই হামলা চালিয়েছেন। দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’