বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম

‘বিড়ি শিল্প দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শোষণ করে চলেছে’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম

টাঙ্গাইল জেলা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন। ছবি- সংগৃহীত

টাঙ্গাইল জেলা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন। ছবি- সংগৃহীত

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের দাবি জানিয়ে টাঙ্গাইলে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রেসক্লাবের সামনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র-ডর্‌প এর উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেন টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক-নেতা, যুব প্রতিনিধি, সাংবাদিক, এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল আঞ্চলিক বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, সদস্য জয়মন বিবি, সাংবাদিক বোরহান তালুকদার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, বিড়ি উৎপাদন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ও স্বল্প মজুরির পেশা। বাংলাদেশে বিড়ির চাহিদা কমে গেলেও এখনো অনেক শ্রমিক বিশেষ করে নারী ও শিশু এই পেশার উপর নির্ভরশীল মূলত বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে। এ ছাড়াও, বেশিরভাগ শ্রমিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন। 

তারা বলেন, এই সুযোগে বিড়ি শিল্প দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শোষণ করে চলেছে। আমাদের পরিস্থিতি মোকাবেলায় অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ, শিশু শ্রম রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। 

মানববন্ধন শেষে বিড়ি শ্রমিকরা তাদের দাবি জানিয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।

সেগুলো হলো, অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহণে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। 

জেলা প্রশাসকের কাছে বিড়ি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানায় এই বিড়ি-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। প্রত্যুত্তরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করার আশ্বাস দেন তিনি।

Shera Lather
Link copied!