বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

পুলিশের ‘থাপ্পড়’, কানে শুনছেন না যুবদল নেতা

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

আহত যুবদল  নেতা আমিনুল ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

আহত যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে এক যুবদল নেতাকে থাপ্পড় দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত নেতার নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি আলমনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে গোপালপুর থানার একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। পরে আহত আমিনুল ইসলামকে প্রথমে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে ও শুনে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবগ্রাম উত্তর চরপাড়ার মৃত মান্নানের দুই ছেলে মিঠু আকন্দ ও মিজু আকন্দের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিষয়ে সোমবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে মিঠু আকন্দ অনুপস্থিত থেকে মঙ্গলবার পুলিশ নিয়ে হাজির হন। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

জানা যায়, পরবর্তীতে থানা থেকে ফোন পেয়ে যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম থানায় উপস্থিত হন। সেখানে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী লিয়াকত ভিপি ও অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে ওসির কক্ষে বৈঠক বসে। বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে এসআই রাসেল ও আমিনুল ইসলামকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।

আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, রুম থেকে বের হওয়ার পর আরেকটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে এসআই রাসেল তাকে সজোরে থাপ্পড় দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং কানে শুনতে পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী লিয়াকত ভিপি বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওপেল চৌধুরীসহ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বৈঠক চলাকালে এমন ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বৈঠক হবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খাইরুল আলম বলেন, ‘আমরা তেমন কোনো আঘাত পাইনি। তবে যেহেতু রোগী কানে না শোনার কথা বলছিলেন, তাই তাকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে এসআই রাসেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘৯৯৯ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। থানায় কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’

গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আলমনগরের বিএনপি নেতা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন, এজন্য তাকে থানায় আনা হয়েছিল। পরে আমার অফিসারের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা বসে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!