ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। এদিকে ঈদের দীর্ঘ ছুটির প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। কোরবানি ঈদের আগমুহূর্তে মুরগিসহ কাঁচা শাকসবজির যে দাম বেড়েছিল, সেটিও কমেছে। তবে বাজারে চড়া মাছের দাম।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে পল্লবী, মিরপুর-১২ নম্বরসহ একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম।
কোরবানি ঈদের আগমুহূর্তে মুরগিসহ কাঁচা শাকসবজির যে দাম বেড়েছিল, সেটিও কমেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি কক মুরগি (সোনালি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির পর মাংসের চাহিদা কমে যায়। এ জন্য মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।
মিরপুর-১২ নম্বর হাজি কুজরত আলী শপিং কমপ্লেক্স সংলগ্ন পোল্ট্রি বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী শামসুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের আগে মুরগি বিক্রির চাপ ছিল। দামও বেশি ছিল, এখন আবার কয়েকদিন বাজার স্বাভাবিক। আগামী রোববার ও সোমবার বেচাকেনা বাড়বে।
আরেক বিক্রেতা বলেন, এখন বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানের জন্য মুরগি বিক্রি হচ্ছে বেশি। খুচরা ক্রেতা ঈদের আগে কিনে রেখেছেন, এজন্য দাম কম হলেও বিক্রি নেই।
বাজারগুলোতে গরুর মাংস আগের মতো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আগের মতোই চড়া মাছের দাম।
ঈদের ছুটিতে অনেক সবজির দাম কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ঝিঙা, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, কাকরোল, করলা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, পটোল, চিচিঙা, ধুন্দল, লতির মতো সবজি। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ও জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
ঈদের আগের রাতে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় সালাদ বানানোর বিভিন্ন পণ্যের দাম। শসা, লেবু, কাঁচা মরিচ, টমেটো, গাজরের দাম বেড়ে যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ও কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শীতকালীন সবজি প্রতি কেজি টমেটো আগের মতোই ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। মাঝারি আকারের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। কেজি প্রতি রুই, কাতল ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি কই ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, চাল, আলু, ডাল, তেল- আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগরসহ বেশিরভাগ মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৯ টাকায়। প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ২২ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।