ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

বিডা পেয়েছে পাঁচ মাসে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন ভবন। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা হিসেবে রূপান্তরিত হয় (ডলার প্রতি ১২২ টাকা হারে)।

বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, ‘এই বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রবাহকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রায় ২০ শতাংশ  এরই মধ্যে অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার মধ্যে রয়েছে চুক্তি স্বাক্ষর, জমি ইজারা নিশ্চিতকরণ ও বরাদ্দপত্র।’

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর বিডা অডিটোরিয়ামে বিনিয়োগবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব তথ্য জানান।

নাহিয়ান রহমান রোচি আরও বলেন, ‘এই প্রবণতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) ও সরকারের শিল্পায়ন প্রক্রিয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু বিনিয়োগের পরিমাণ নয়, এর মান ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করাও। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে এবং প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়, তাহলে আগামী পাঁচ মাসে আরও কার্যকর ফল আসতে পারে।’

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জানায়, প্রস্তাবিত বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশ বর্তমানে অনুসন্ধানী বা যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। এই পর্যায়ে রয়েছে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, প্রাথমিক আলোচনা ও প্রকল্প পরিকল্পনা।

বিডার কর্মকর্তারা জানান, ধাপে ধাপে বিনিয়োগ পাইপলাইন আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে সম্ভাব্য মূলধন প্রবাহের বাস্তব চিত্র তুলে ধরবে।

নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, ‘বৃহৎ পরিসরের বিনিয়োগের জন্য এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ প্রস্তাবই অনুসন্ধানী পর্যায়ে শুরু হয় এবং সঠিক সহায়তা পেলে ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হয়।’

তিনি আরও জানান, প্রায় ২০ শতাংশ প্রস্তাব বর্তমানে গভীর পর্যালোচনায় রয়েছে, যা আনুষ্ঠানিক নথিপত্র প্রস্তুতির পূর্ববর্তী ধাপ।

বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে বেজা একটি ইউনিফাইড ইনভেস্টমেন্ট পোর্টাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। বেজার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই পোর্টালে বিনিয়োগের অগ্রগতি, জমির প্রাপ্যতা ও অনুমোদনসংক্রান্ত তথ্য এক প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। এ পোর্টাল বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং প্রশাসনিক ফলোআপের সময় কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি এটি বিনিয়োগের বিভিন্ন ধাপের রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং সুবিধা দেবে, যা সরকারি ও বেসরকারি উভয় পক্ষকে কার্যকরভাবে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে।’